চট্রগ্রাম নগরীর খুলশী থানার সেগুন বাগান এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের উপর বার বার হামলা, লুট পাট করা হলেও খুলশী থানা পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিবারের নারী সদস্য নয়ন মনি প্রকাশ লালি বিগত আওয়ামীলীগ সরকার এর সময়ে টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেন। যা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সে সময়কার একটি ছবি দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করা শুরু করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যুবদল নেতা সাদ্দাম ও জামিল। তারা সে ছবি দেখিয়ে লালির কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
লালি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে যুবদল নেতা সাদ্দাম প্রকাশ শিবির সাদ্দাম, জামিল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফ গংদের নেতৃত্বে অস্ত্র মামলার আসামী মোঃ আলমগীর (৩০) ফরহাদ (৩০), হত্যা মামলার আসামী সাগর প্রকাশ মুরগী সাগর (২৬), চিকা প্রকাশ আশিক (২৪), বিজয় (২৫), রহিম (৩০), শাহিন (৩১)সহ অজ্ঞাত২৫-৪০জন সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসহ দোকান ও বসত ঘরে হামলা চালায়।
এই সময় গুরুতর আহত হন ভুক্তভোগী নারী নয়ন মনি প্রকাশ লালি (৩২), মোঃ জহির (৭০), সুমি আক্তার (২৬), মোঃ সুমন (৩৬), জুলি আক্তার (১৩), আমেনা বেগম (৩২), বেবি আক্তার (৩৬),আঞ্জু বেগম (২৪)সহ আরো অনেকে।
হামলার পর পর লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় লালি বেগম এর দোকানের মালামাল, অটোরিকশা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালা-মাল।
সরেজমিন তদন্ত করে দেখা যায়, সাদ্দাম এবং জামিল বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অসহায়।তারা প্রতিনিয়ত দলীয় নাম ব্যবহার করে এলাকায় চুরি,ছিনতাই, মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে যে কথা বলে তার উপরে শুরু হয় অত্যাচার। ফরহাদ গং এলাকায় চুরি, ছিনতাই করে দিনে দুপুরে। তাদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের হয়রানি করে পুলিশ।
অসহায় লালি এবং তার পরিবার প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও বিচার পাচ্ছে না। উপরের নির্দেশে খুলশী থানা পুলিশ মামলা নিলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করে নাই খুলশী থানা পুলিশ।আর এ সুযোগে ভুক্তভোগী পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে আসামীরা।
এ বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমরা মামলা পেয়েছি, খুব শীঘ্রই আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।