চট্রগ্রামের খুলশী এলাকার শীর্ষ ইয়াবা সম্রাট বান্দর জাবেদের খুঁটির জোর কোথায় এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন এলাকাবাসীর মাঝে। প্রতিনিয়ত ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় করলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের কোন ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইয়াবা বিক্রি সংক্রান্ত সংবাদ "সিটিজি ডেইলি নিউজ ২৪" সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলে সে কয়েক দিনের জন্য আত্মগোপন করে। ৫/৬দিন পর আবারো পুরোদমে নেমে যায় ইয়াবা ব্যবসায়। তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তথ্যে জানা যায়, বন্দর নগরীর খুলশী থানা এলাকার বহুল আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী বান্দর জাবেদ এবং তার বড় ভাই আওয়ামীলীগ দোসর জাহাঙ্গীর। বিহারী এই দুই ভাই রেলওয়ের সরকারী জায়গা দখল করে বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে এই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বান্দর জাবেদ এখন বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে।
জাবেদ এর ইয়াবা বিক্রি সংক্রান্ত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর এবং সে নিজে অবৈধ পন্থায় আয়কৃত টাকা দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করে আবার ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করায় কয়েকজন এলাকাবাসীকে সে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি, এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে।
রানা নামের সচেতন একজন এলাকাবাসী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এর পর জাবেদ তার WhattsApp এসএমএস করে গালা-গালি করে, এবং তাকে সাইবার ক্রাইম এ মামলার ভয় দেখায়। যার প্রমান সরুপ জাবেদ এর পাঠানো এসএমএস এবং ভয়েস ম্যাসেজ তিনি আমাদের কাছে পাঠান।
এলাকাবাসী জানায়, ইয়াবা জগতের এ নায়ক রহস্যজনক কারণে বরাবরের মতই প্রশাসনের নজরে পড়ছে না। প্রতিদিন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জাবেদ এর নেতৃত্বে বিক্রি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ইয়াবা। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার বাহিনীর সাঙ্গ-পাঙ্গরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। যার ফলে খুলশী এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকায় চুরি,ছিনতাই, চাঁদাবাজি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সব সময় আতংক এর ভিতরে আছে এলাকাবাসী। জাবেদ দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফ উখিয়া থেকে সুকৌশলে ঘাতক মরণ নেশা ইয়াবার চালান এনে চট্রগ্রাম নগরীর খুলশী থানার আনাছে কানাছে বিক্রি করে আসছে। তার ইয়াবা খুচরো বিক্রি করার জন্য রয়েছে ১০-১২ জন নারী-পুরুষ ইয়াবা বিক্রিতা। আর এই মাদক ব্যবসা করে অল্প দিনের মধ্যে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। সে শুধু খুলশী থানা এলাকাতে নয়, চট্রগ্রাম শহরের বাহিরে তার ইয়াবার চালান প্রতিনিয়ত যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় ইয়াবার রাম রাজত্ব কায়েম করে নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এ কার্যক্রম।
এক সময়ের ভিক্ষুক এর ছেলে এই বান্দর জাবেদ অভাব অনটনে পড়ে এবং তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর এর দলীয় প্রভাবে জড়িয়ে পড়ে মরণ নেশা ঘাতক ইয়াবা ব্যবসায়। ১৩ নং ওর্য়াড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ হোসেন হিরন এর দাপটে খুলশী থানায় ইয়াবার রাম রাজত্ব চালায় জাবেদ এবং জাহাঙ্গীর দুই ভাই।
আওয়ামীলীগ এর পতন এর পর এখন স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার প্রশ্রয়ে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসন সহ বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করে বর্তমানে ইয়াবার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে এ ইয়াবা জগতের নায়ক জাবেদ। তার অপকর্মের অন্ত না থাকলেও এলাকাবাসী এ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী তাকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আফতাব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত জাবেদকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে বলে জানান।
এসব বিষয়ে জাবেদ এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বলে, আরো হাজার বার লিখেও তার কিছুই হবে না। সে বলে, আমি সবকিছু ম্যানেজ করে ব্যবসা করি।