চট্টগ্রামের পটিয়া থানা চত্বরে রাতের আঁধারে ঘটে গেল নাটকীয় সংঘর্ষ। একদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা, অন্যদিকে থানা পুলিশের দফায় দফায় লাঠিচার্জ। অভিযোগ, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দেকে ধরে থানায় সোপর্দ করতে গেলে সেখানেই শুরু হয় পুলিশের ‘আচমকা হামলা’। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জনের বেশি আন্দোলনকারী।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত আটটার পর, পটিয়া শহীদ মিনার থেকে আটক করা দীপঙ্কর দেকে থানায় নিয়ে গেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, থানায় তাকে হস্তান্তরের সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ তার নামে কোনো মামলা ছিল না। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের নেতৃত্বে দফায় দফায় লাঠিচার্জ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর পলাশের নেতৃত্বে ঘটে এ হামলার ঘটনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী, এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমান, পটিয়া উপজেলা সংগঠনের কর্মী তৌকির ও রাব্বি সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন বলে দাবি সংগঠন দুটির।
চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা দীপঙ্কর দেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থানায় সোপর্দ করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তারা আমাদের উপর চড়াও হয়।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে রাঙ্গামাটি ছাত্রলীগ নেতা পটিয়া স্টেশনে আছে৷ খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে যাই। তাকে ধরে থানায় নিয়ে গেলে আমিসহ আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান বলেন, ‘পটিয়া থানায় লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সহযোদ্ধাদের ওপর ওসির নির্দেশে হামলার ঘটনায় ওসি জায়েদ নূরকে অপসারণ করতেই হবে। ওসিকে অপসারণ না করা পর্যন্ত পটিয়া থানার সকল কার্যক্রমকে সন্দেহ করুন। আজকের হামলার শিকার শুধু এনসিপি বা বৈষম্যবিরোধীরাই হয়নি ছাত্রদলও হয়েছে।’