চট্রগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের নতুন আহবায়ক কমিটি ও ১৫ থানার নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কমিটি ঘোষণার পর পরই নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নতুন কমিটি বয়কট এর ঘোষনা আসে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, গতকাল ২৬ই জুন বেলায়েত হোসেন ভুলু কে আহবায়ক এবং জমির উদ্দিন নাহিদ কে সদস্য সচিব করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট চট্রগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়াও মহানগর কমিটির পাশাপাশি এর আওতাধীন ১৫টি থানা শাখার পূর্ণাঙ্গ ও ১২টি ওয়ার্ড শাখার আংশিক আহ্বায়ক কমিটিও একইসঙ্গে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কমিটি ঘোষনার পর পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এবং পদবঞ্চিত নেতারা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন নতুন কমিটিতে দলের দুর্দিনে মাঠে থাকা, প্রাণ বাজি রেখে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা ও হামলা-মামলার শিকার ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজপথে দেখা যায়নি এমন ব্যাক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দলের দুঃসময়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলা নেতাকর্মীরা নবগঠিত কমিটিতে পদ পেয়েছেন। গত ১৭ বছর সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন এমন নেতারা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। একাধিক থানা এবং ওয়ার্ড কমিটিতে স্থান পেয়েছে আওয়ামীলীগ অনেক নেতা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন টাকার বিনিময়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি এবং থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গুলোতে ছাত্রলীগ কর্মীদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জানা যায় খুলশী থানা সেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহবায়ক কমিটিতে বেশির ভাগই সদস্য আওয়ামীলীগ এর সাবেক নেতা, বহিরাগত। এই কমিটিতে যুগ্ন-আহবায়ক পদে স্থান পায় চট্রগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগ এর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল জিয়া। এছাড়াও ১৩ নং পাহাড়তলি ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের ০৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির ৫ জনকেই চিনেন না স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
কমিটির এসব বিষয় নিয়ে নব নির্বাচিত আহবায়ক বেলায়েত হোসেন ভুলুর সাথে যোগা-যোগ করা হলে, তিনি বলেন আমি কমিটি নিয়ে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না।
সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ এর সাথে যোগা-যোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার কল হলেও রিসিভ করেন নাই।